-->

Tuesday, November 6, 2018

I want to buy Bangladesh Shanchoypatro
বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র প্রচলিত আছে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ তিন বছর। পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৫ বছর। পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিক কিস্তিতে তোলা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিক ও ত্রৈমাসিক উভয় ভিত্তিতে তোলা যায়।



কারা কিনতে পারেন: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোনো বাংলাদেশি একক বা যৌথ নামে কিনতে পারেন ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও নারী), ৬৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোনো নাগরিক একক নামে কিনতে পারেন।

সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এলপিআরে থাকা অবস্থায় প্রাপ্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও চূড়ান্ত অবসর নেওয়ার পর আনুতোষিকের টাকা দিয়ে পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। পারিবারিক পেনশনের আওতায় তাদের স্বামী/স্ত্রী/সন্তান এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।

কোনো প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে না। তবে কমকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের আয়ের ১০ শতাংশ অর্থ দিয়ে শুধু ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। যে কোনো সঞ্চয়পত্র নাবালকের পক্ষে কিংবা যুগ্ম নামে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি কিনতে পারেন।

কীভাবে কিনতে হয়: বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্র কিনতে পাওয়া যায়। নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। ক্রেতা ও নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি লাগে। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর অন্তর্ভুক্তির জন্য মূল কপি দেখাতে হয়।

নমিনি কি বাধ্যতামূলক: সঞ্চয়পত্রে নমিনি বাধ্যতামূলক নয়। তবে নমিনি মনোনয়ন করা বাঞ্ছনীয়। এক বা একাধিক নমিনি রাখা যায়। নাবালকও নমিনি হতে পারে। নমিনি না থাকলে মূল মালিকের মৃত্যুর পর তিন মাসের মধ্যে আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদ নিয়ে আইনানুগ উত্তরাধিকারী সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে পারবেন।

ক্রয়সীমা: পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পরিবার সঞ্চয়পত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা একক নামে ৫০ লাখ টাকা।

নগদায়ন ও মুনাফা: যে অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা হয়, সেখান থেকে তা ভাঙানো বা নগদায়ন করা যায়। তবে এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙালে কোনো সুদ বা মুনাফা পাওয়া যায় না। সঞ্চয়পত্রের পূর্ণ সুদ বা মুনাফা পেতে গেলে মেয়াদ পূর্ণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই নগদায়ন করলেও তিনি মুনাফা পাবেন, তবে সেটি সরকার নির্ধারিত হারে। এ জন্য কোন বছরের জন্য কত মুনাফা তা আলাদা করা আছে।

যেমন এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করলে পরিবার সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছরের জন্য ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ, দুই বছর পূর্তির পর ভাঙালে ১০ শতাংশ, তিন বছর পূর্তির পর ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, চার বছর পূর্তির পর ১১ শতাংশ এবং ৫ বছর পূর্ণ করে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে সুদ বা মুনাফা পাবেন গ্রাহক।

তবে মুনাফা দেওয়ার বেলায় সরকার পূর্ণ হারেই মুনাফা দিয়ে থাকে, কিন্তু মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙালে আসল থেকে অতিরিক্ত মুনাফা কেটে সমন্বয় করা হয়। এ নিয়ম সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে প্রযোজ্য। ৫ বছর ধরে কোনো গ্রাহক এ ধরনের সঞ্চয়পত্র না ভাঙালে তিনি প্রতি মাসে এক লাখ টাকার বিপরীতে সব ধরনের কর কাটার পর নিট ৯১২ টাকা মুনাফা পাবেন।

একইভাবে ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের বেলায় প্রথম বছর পূর্তির পর ভাঙালে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছর অর্থাৎ মেয়াদপূর্তি শেষে ভাঙালে গ্রাহক ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ সুদ পাবেন।
তিন বছর মেয়াদি ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছর শেষে ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় বছর শেষে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ সুদ পাবেন গ্রাহক। এই ধরনের সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা এক লাখ টাকার বিপরীতে প্রতি তিন মাস পর পর সব ধরনের কর কাটার পর নিট ২ হাজার ৬২২ টাকা সুদ বা মুনাফা পান।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রের বেলায়ও ধাপে ধাপে সুদহার নির্ধারণ করা আছে। প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ এবং পঞ্চম বছর অর্থাৎ মেয়াদপূর্তি শেষে ভাঙালে গ্রাহক ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ সুদ পাবেন।
আয়কর সংক্রান্ত: সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ বা মুনাফার উৎসে আয়কর কাটা হয়। ২০১১ সালের ১ জুলাইয়ের পর কেনা সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎস কর কাটা হয়। এই সময়ের আগে কেনা সঞ্চয়পত্রে তখন যে উৎসে কর প্রযোজ্য ছিল, সেই হারে কাটা হয়।

তবে ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং ২০০৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের পেনশনার সঞ্চয়পত্র উৎসে আয়কর মুক্ত ছিল। তবে ২০১৪ সালের ১ জুলাইয়ের পর কেনা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্র এখনও উৎসে আয়করমুক্ত। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়ার সময় এ আয়কর কেটে রাখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অন্যান্য: সঞ্চয়পত্র চুরি হলে বা হারালে বা অন্য কোনোভাবে নষ্ট হলে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যে অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা, সেই অফিসে বিষয়টি অবগত করে ‘ডুপ্লিকেট’ সঞ্চয়পত্র পাওয়া যাবে। গ্রাহক চাইলে সঞ্চয়পত্র স্থানান্তর করে নিতে পারেন, অর্থাৎ কোনো গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কিনে তা স্থানান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য যে কোনো অফিসে নিতে পারেন এবং সেখান থেকে সুবিধা নিতে পারবেন। একইভাবে অন্যান্য ব্যাংকের বেলায়ও স্থানান্তর করা যায়।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit, sed diam nonummy nibh euismod tincidunt ut laoreet dolore magna Veniam, quis nostrud exerci tation ullamcorper suscipit lobortis nisl ut aliquip ex ea commodo consequat.

0 comments:

Post a Comment

Contact Us
Md. Sabuj Hossain
+88 01923 147 506
+88 01688 158 067
Dhaka, Bangladesh